জগন্নাথপুর- তেলিকোনা সড়কের কালভার্ট ব্রীজের এপ্রোচে মাটি নেই, ঘটছে দুর্ঘটনা

জগন্নাথপুর- তেলিকোনা সড়কের কালভার্ট ব্রীজের এপ্রোচে মাটি নেই, ঘটছে দুর্ঘটনা

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ

জগন্নাথপুর -তেলিকোনা সড়কের কলকলিয়া এলাকায়  কালভার্ট ব্রীজের এপ্রোচে মাটি ভরাট সহ কার্পেটিং না থাকায় অহরহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে যাত্রীবাহী ও প্রাইভেট যানবাহন। এতে যাত্রী সাধারণ আহত হওয়ার পাশা-পাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে যানবাহন মালিকদের। জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে এপ্রোচে মাটি ভরাট সহ কার্পেটিং করার জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আজ ১৭ ই অক্টোবর রোজ রবিবার দুপুর ১ ঘটিকার সময় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ১নং কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত আটপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এর পশ্চিম এলাকা সংলগ্ন জগন্নাথপুর – তেলিকোনা সড়কের কালভার্ট ব্রীজটি বিগত ২০২০ সালে নির্মিত হলেও দীর্ঘ প্রায় প্রায় এক বছরেও এই ব্রীজের  এপ্রোচে কার্পেটিং হওয়া দুরে থাক প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট না করার কারনে ঝুঁকি নিয়ে প্রাইভেট ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করছে। যার ফলে এই সড়কে ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচলকারী প্রাইভেট ও যাত্রীবাহী যানবাহন হরহামেশা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। যাত্রী সাধারণ আহত হওয়ার পাশা-পাশি যানবাহন এর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে এই ব্রীজের এপ্রোচের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্তব্যরত কর্মকর্তাগনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে যাত্রী সাধারণ ও স্থানীয়রা তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন , তেলিকোনা হইতে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ স্থাপনকারী এই কালভার্ট ব্রীজ এর উপর দিয়ে যানবাহনে করে দিরাই উপজেলার পূর্বাঞ্চল, শান্তিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল এবং  জগন্নাথপুর উপজেলার স্কুল -কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী সহ শত শত যাত্রী সাধারণ বিভাগীয় শহর সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা সদর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রয়োজন এর তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। তারা আরও বলেন,  ২০২০ সালে এই ব্রীজটি পূর্ণঃনির্মাণ হলেও অদ্যাবধি ব্রীজের এপ্রোচে প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট সহ কার্পেটিং না হওয়ায় এখানে প্রতিনয়ত ছোট -খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। যানবাহনের যাত্রী -পথচারী আহত হওয়ার পাশা-পাশি যানবাহন এর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। বিধায় জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।
এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনের চালক নাসির সহ একাধিক চালক জানান, ব্রীজের সাথে এপ্রোচ এর মিল না থাকায় প্রতিনিয়ত গাড়ী নিয়ে ব্রীজে উঠার সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। পথচারী ও  যাত্রী সাধারণ আহত হচ্ছেন। গাড়ীর গিয়ার বক্স আঘাত প্রাপ্ত হয়। এই ক্ষতি মেরামতে গাড়ী প্রতি প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা লাগে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, জীবন জীবিকার তাগিদে অন্ন -বস্ত্রের যোগান দিয়ে পরিবারের মূখে একটু হাসি ফোটানোর লক্ষে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই পথে যানবাহন চালাতে হচ্ছে। দ্রুত এই ব্রীজের এপ্রোচ সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ গোলাম সারোয়ার বলেন, এই ব্রীজের এপ্রোচ সংস্কারের টেন্ডার  হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন